নির্বাচিত ১০০ হাদীস



৭৬/১০০. আয়িশা (রা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন:

"যে ব্যক্তি আমার এই দ্বীনে (নিজের পক্ষ থেকে) কোন নতুন কথা উদ্ভাবন করল' যা তার (ইসলামের) মধ্যে নেই, তা প্রত্যাখ্যানযোগ্য।"

- [সহীহুল বুখারীঃ ২৬৯৭; মুসলিমঃ ১৭১৮; রিয়াদুস স্বা-লিহীনঃ ১৭৩]


৭৭/১০০. আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন:

"যে ব্যক্তি (কাউকে) সৎপথের দিকে আহ্বান করবে, সে তার প্রতি আমলকারীদের সমান নেকী পাবে । এটা তাদের নেকীসমূহ থেকে কিছুই কম করবে না। আর যে ব্যক্তি (কাউকে) ভ্রষ্টতার দিকে আহ্বান করবে, তার উপর তার সমস্ত অনুসারীদের গোনাহ চাপবে। এটা তাদের গোনাহ থেকে কিছুই কম করবে না।"

- [মুসলিমঃ ২৬৭৪; আবু দাউদঃ ৪৬১৯]


৭৮/১০০. আবু সাঈদ খুদরী (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি:

"তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোন মন্দ কাজ দেখবে, সে যেন তা নিজ হাত দ্বারা পরিবর্তন করে দেয় । যদি (তাতে) ক্ষমতা না রাখে, তাহলে নিজ জিভ দ্বারা (উপদেশ দিয়ে পরিবর্তন করে) । যদি (তাতে) সামর্থ্য না রাখে, তাহলে অন্তর দ্বারা (ঘৃণা করে)। আর এ হল সবচেয়ে দুর্বল ঈমান।"

- [সহীহুল বুখারীঃ ৯৫৬; মুসলিমঃ ৪৯]


৭৯/১০০. আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, নবী (সা) বলেন,

তোমরা রাস্তায় বসা হতে বিরত থাকো।

সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূূল! সে মজলিসে না বসলে তো আমাদের উপায় নেই; আমরা সেখানে কথাবার্তা বলি।

রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, যখন তোমরা (সেখানে) না বসে পারবেই না, তখন তোমরা রাস্তার হক আদায় করো।

তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! রাস্তার হক কি?

তিনি বললেন, দৃষ্টি সংযত রাখা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, সালামের জবাব দেওয়া, ভাল কাজের নির্দেশ ও মন্দ কাজে নিষেধ করা।

- [সহীহুল বুখারীঃ ২৪৬৫; মুসলিমঃ ১২১১; আহমাদঃ ১০৯১৬]


৮০/১০০. আবু যায়দ উসামাহ ইবনে যায়দ ইবনে হারেসাহ (রা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি,

"কিয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে আনা হবে । অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে । সেখানে তার নাড়ি-ভুঁড়ি বেড় হয়ে যাবে এবং সে তার চারিপাশে এমনভাবে ঘুরতে থাকবে, যেমন গাধা তার চাকির চারপাশে ঘুরতে থাকে । তখন জাহান্নামীরা তার কাছে একত্রিত হয়ে তাকে বলবে, 'ওহে অমুক! তোমার এ অবস্থা কেন ? তুমি না (আমাদেরকে) সৎকাজের আদেশ, আর অসৎ কাজে বাধা দান করতে?'সে বলবে, 'অবশ্যই! আমি (তোমাদেরকে) সৎকাজের আদেশ দিতাম; কিন্তু আমি তা নিজে করতাম না এবং অসৎ কাজে বাধা দান করতাম; অথচ আমি নিজেই তা করতাম।"

- [সহীহুল বুখারীঃ ২৬৮২; মুসলিমঃ ৫৯; রিয়াদুস স্বা-লিহীনঃ ২০৩]


৮১/১০০. আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন,

তোমরা কি জানো নঃস্ব কে?

তাঁরা বললেন, আমাদের মধ্যেই নিঃস্ব ঐ ব্যক্তি, যার কাছে কোন দিরহাম এবং কোন আসবাব-পত্র নেই।

তিনি বললেন, আমার উম্মতের মধ্যে (আসল) নিঃস্ব তো সেই ব্যক্তি, যে কিয়ামতের দিন সালাত, সিয়াম ও যাকাতের (নেকী) নিয়ে হাযির হবে (কিন্তু এগুলো নষ্ট হয়ে যাবে)। সে এ অবস্থায় আসবে যে, সে কাউকে গালি দিয়েছে। কারো প্রতি মিথ্যা অপবাদ আরোপ করেছে, কারো মাল (অবৈধভাবে) ভক্ষণ করেছে, কারো রক্তপাত করেছে এবং কাউকে মেরেছে।

অতঃপর এ (অত্যাচারিত) কে তার নেকী দেওয়া হবে, এ (অত্যাচারিতকে) তার নেকী দেওয়া হবে।

পরিশেষে যদি তার নেকীরাশি অন্যান্যদের দাবি পূরণ করার পূর্বেই শেষ হয়ে যায়, তাহলে তাদের পাপরাশি নিয়ে তার (অত্যাচারী ব্যক্তির) উপর নিক্ষেপ করা হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

- [মুসলিম, তিরমিযী, রিয়াদুস স্বা-লিহীনঃ ২২৩]


৮২/১০০. আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, নবী (সা) বলেন:

"যে দুনিয়াতে কোন বান্দার দোষ গোপন রাখে, আল্লাহ তা'আলা কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন।"

- [মুসলিমঃ ২৫৯০; রিয়াদুস স্বা-লিহীনঃ ২৪৫]


৮৩/১০০. আবু হুরায়রা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন:

"কোন ঈমানদার পুরুষ যেন কোন ঈমানদার নারী (স্ত্রীকে) ঘৃণা না করে। যদি সে তার একটি আচরণে অসন্তুষ্ট হয়, তবে অন্য আচরণে সন্তুষ্ট হবে।"

- [মুসলিমঃ ১৪৬৯; রিয়াদুস স্বা-লিহীনঃ ২৮০]


৮৪/১০০. আবু হুরায়রা (রা) কর্তৃক বর্ণিত, নবী (সা) বলেন:

"প্রতিদিন সকালে দু'জন ফিরিশতা অবতরণ করেন । তাঁদের একজন বলেন, হে আল্লাহ! দাতাকে তার দানের বিনিময় দিন । আর অপরজন বলেন, হে আল্লাহ! কৃপণকে ধ্বংস দিন।"

- [মুসলিমঃ ৯৯৬; আবু দাউদঃ ১৬৯২]


৮৫/১০০. আবু সুরাইয়াহ সাবরাহ ইবনে মা'বাদ জুহানী (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন:

"তোমরা শিশুকে সাত বছর বয়সে সালাত শিক্ষা দাও এবং দশ বছর বয়সে তার জন্য তাকে প্রহার করো।"

- [তিরমিযীঃ ৪০৭; আবু দাউদঃ ৪৯৪]


৮৬/১০০. আনাস (রা) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন,

"যে ব্যক্তি চায় যে, তার রূযী (জীবিকা) প্রশস্ত হোক এবং আয়ু বৃদ্ধি হোক, সে যেন তার আত্মীয়তার সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখে।"

- [সহীহুল বুখারীঃ ২০৬৭; মুসলিমঃ ২৫৫৭]


৮৭/১০০. আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, নবী (সা) বলেন,

"মুমিন ছাড়া অন্য কারো সঙ্গী হয়ো না এবং তোমার খাবার যেন পরহেজগার ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ না খায়।"

- [তিরমিযীঃ ২৩৯৫; আবু দাউদঃ ৪৮৩২]


৮৮/১০০. আবু মূসা (রা) থেকে বর্ণিত, নবী (সা) বলেছেন:

"মানুষ (দুনিয়াতে) যাকে ভালোবাসে (কিয়ামতে) সে তারই সাথী হবে।"

- [রিয়াদুস স্বা-লিহীনঃ ৩৭২]


৮৯/১০০. মুআয (রা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি,

"আল্লাহ তা'আলা বলেন, আমার মর্যাদার ওয়াস্তে যারা আপোসে ভালোবাসা স্থাপন করবে, তাদের (বসার) জন্য হবে নূরের মিম্বর; যা দেখে নবী ও শহীদগণ ঈর্ষা করবেন।"

- [তিরমিযীঃ ২৩৯০; আহমাদঃ ২১৫২৫]


৯০/১০০. মুস্তাওরিদ ইবনে শাদ্দাদ (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন,


"আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ায় দৃষ্টান্ত ঐরূপ, যেমন তোমাদের কেউ সমুদ্রে আঙুল ডুবায় এবং (তা বের করে) দেখে যে, আঙ্গুলটি সমুদ্রের কতটুকু পানি নিয়ে ফিরছে।"

- [মুসলিমঃ ২৮৫৮; তিরমিযীঃ ২৩২৩]


৯১/১০০. কা'ব ইবনে মালেক (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন:

"ছাগলের পালে দুটি ক্ষুধার্ত নেকড়ে বাঘকে ছেড়ে দিলে ছাগলের যতটা ক্ষতি করে, তার চেয়ে মানুষের সম্পদ ও সম্মানের প্রতি লোভ-লালসা তার দ্বীনের জন্য বেশি ক্ষতিকারক।"

- [তিরমিযীঃ ২৩৭৬; রিয়াদুস স্বা-লিহীনঃ ৪৮৯]


৯২/১০০. ইবনে আব্বাস ও ইমরান হুস্বাইন (রা) থেকে বর্ণিত, নবী (সা) বলেছেন:

"আমি বেহেস্তের মধ্যে তাকিয়ে দেখলাম, অধিকাংশ অধিবাসীরাই গরীব লোক। আর দোযখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, তার অধিকাংশ অধিবাসীরাই মহিলা।"

- [সহীহুল বুখারীঃ ৩২৪১; মুসলিমঃ ২৭৩৮]


৯৩/১০০. আবদুল্লাহ আমর ইবনুল আ'স (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন:

"সে ব্যক্তি সফলকাম, যে ইসলাম গ্রহণ করেছে, তাকে পরিমিত রূযী দেওয়া হয়েছে এবং আল্লাহ তাকে যা দিয়েছেন তাতে তাকে তুষ্ট করেছেন।"

- [মুসলিমঃ ১০৫৪; তিরমিযীঃ ২৩৪৮]


৯৪/১০০. ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত, নবী (সা) বলেছেন:

"কেবলমাত্র দু'টি বিষয়ের ঈর্ষা করা যায়ঃ (১) ঐ ব্যক্তির যাকে আল্লাহ কুরআন (শিক্ষা) দিয়েছেন অতঃপর সে দিবারাত্রি তার যত্ন (তিলাওয়াত ও আমল) করে এবং (২) ঐ ব্যক্তির যাকে মহান আল্লাহ সম্পদ দিয়েছেন, অতঃপর সে দিবারাত্রি তা দান করে।"

- [সহীহুল বুখারীঃ ৫০২৫; মুসলিমঃ ৮১৫]


৯৫/১০০. আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (সা) বলেছেন:

"তোমরা অতি সত্বর নেতৃত্বের লোভ করবে। (কিন্তু স্মরণ রাখো) এটা কিয়ামতের দিন অনুতাপের কারণ হবে।"

- [সহীহুল বুখারীঃ ৭১৪৮; নাসায়ীঃ ৪২১১]


৯৬/১০০. আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন:

"শোন! তোমাদের দাজ্জাল সম্পর্কে আমি কি এমন কথা বলবো না, যা কোন নবীই তাঁর জাতিকে বলেন নি? তা হলো এই যে, সে হবে কানা আর সে নিজের সাথে নিয়ে আসবে জান্নাত ও জাহান্নামের মতো কিছু। যাকে সে জান্নাত বলবে, বাস্তবে সেটা জাহান্নাম হবে।"

- [সহীহুল বুখারীঃ ৩৩৩৮; মুসলিমঃ ২৯৩৬]


৯৭/১০০. আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

“দাজ্জাল আত্মপ্রকাশ করলে মুমিনদের একজন তার নিকট যাবে। পথে তার সাথে দাজ্জালের পাহারাদারদের দেখা হলে, তারা তাকে জিজ্ঞেস করবে: কোথাকার ইচ্ছায় বেরিয়েছ? সে বলবে: আমি এই আত্মপ্রকাশকারী ব্যক্তির কাছে যেতে চাই। তারা বলবে: আমাদের প্রভুর প্রতি কি তুমি ঈমান রাখ না? সে বলবে: আমাদের প্রভুর ব্যাপারে তো অপ্রকাশ্য কিছু নেই। তারা বলবে: একে হত্যা কর। অতঃপর তাদের কিছু লোক অন্য কিছু লোককে বলবে: তোমাদের প্রভু কি তোমাদেরকে তার অনুমতি ব্যতীত কাউকে হত্যা করতে নিষেধ করেনি? ফলে তারা তাকে দাজ্জালের কাছে নিয়ে যাবে। যখন মুমিন লোকটি দাজ্জালকে প্রত্যক্ষ করবে তখন বলবে: হে লোকসকল! এ সেই দাজ্জাল যার আলোচনা রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেছেন। অতঃপর দাজ্জালের আদেশে তাকে উপুড় করে শোয়ানো হবে। দাজ্জাল বলবে: ওকে ধরে তার পিঠ ও মাথায় প্রহার কর। তাকে প্রহার করার কারণে তার পেট ও পিঠ চওড়া হয়ে যাবে। সে বলবে: তুমি কি আমাকে বিশ্বাস কর না? সে বলবে: তুমি তো মিথ্যাবাদী মাসীহ দাজ্জাল। অতঃপর তার হুকুমে মুমিন ব্যক্তির মাথার সিঁথি থেকে দু’পায়ের মধ্য পর্যন্ত করাত দিয়ে চিরে দু’টুকরো করে দেয়া হবে। অতঃপর দাজ্জাল দুই টুকরার মাঝখান দিয়ে হেঁটে যাবে এবং লাশকে সম্বোধন করে বলবে: উঠ। তখন সে পূর্ণরূপে (জীবিত হয়ে) উঠে দাঁড়াবে। অতঃপর (দাজ্জাল) তাকে জিজ্ঞেস করবে: তুমি কি আমার প্রতি ঈমান এনেছ? সে বলবে: তোমার সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পেল। তারপর বলবে: হে লোকেরা! এ দাজ্জাল আমার পরে মানুষের মধ্য হতে আর কারো কোন কিছু করতে পারবে না। অতঃপর দাজ্জাল তাকে যবেহ্ করার জন্য ধরবে। তখন আল্লাহ্ তা’আলা তার গর্দান থেকে গলার নিচের হাড়ের মধ্যমাংশকে পিতলে পরিণত করবেন। ফলে সে তাকে হত্যা করতে সক্ষম হবে না। শেষে সে তার দু’হাত ও দু’পা ধরে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। এ দেখে লোকেরা ধারণা করবে যে, তাকে আগুনে নিক্ষেপ করল। বাস্তবে তাকে জান্নাতে ফেলা হলো। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: নিখিল বিশ্বের প্রতিপালকের নিকট এই ব্যক্তিই সবচেয়ে বড় শহীদ।”

- [বুখারী: ৭১৩২, মুসলিম: ২৯৩৮]


৯৯/১০০. আবু হুরায়রা (রা) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন:

"কিয়ামত ততোদিন পর্যন্ত সংঘটিত হবে না, যে পর্যন্ত মুসলিমরা ইহুদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করবে। এমনকি ইহুদী পাথর ও গাছের আড়ালে আত্মগোপন করলে পাথর ও গাছ বলবে, 'হে মুসলিম! আমার পেছনে ইহুদী রয়েছে। এসো, ওকে হত্যা করো। কিন্তু গারক্বাদ গাছ (এরূপ বলবে) না। কেননা এটা ইহুদীদের গাছ।"

- [সহীহুল বুখারীঃ ২৯২৬; মুসলিমঃ ২৯২২; রিয়াদুস স্বা-লিহীনঃ ১৮২৯]


৯৮/১০০. আমর ইবনু আবাসা (রা) থেকে মারফূ সূত্রে বর্ণিত-

" সর্বোত্তম হিজরত হলো আল্লাহ যা অপছন্দ করেন তা বর্জন করা ।"

- [আস-সহীহাঃ ৫৫৩]


১০০/১০০. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মুগাফফাল রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত।তিনি বলেছেন:

এক ব্যক্তি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলল,

“ইয়া রাসুলুল্লাহ্! আল্লাহ্-র কসম! আমি নিশ্চয়ই আপনাকে ভালোবাসি।”

রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,

“তুমি কী বলছো তা চিন্তা-ভাবনা করে দেখ।”

সে বলল, “আল্লাহ্-র কসম!নিশ্চয়ই আমার ভালোবাসা আপনার জন্য।”

এরূপ সে তিনবার বলল।

এরপর তিনি বললেন,
“তুমি যদি সত্যিই আমাকে ভালোবেসেই থাকো তাহলে দারিদ্রের জন্যে মোটা পোশাক তৈরী করে নাও।কারণ বন্যার পানি যে গতিতে তার শেষ গন্তব্যের দিকে পৌঁছে যায়,আমাকে যে ভালোবাসে দারিদ্র ও নিঃস্বতা তারচেয়েও দ্রুত গতিতে তার দিকে ধাবিত হয়।”

- [তিরমিযী, রিয়াদুস সলিহীনঃ ৪৮৮]


3 Comments

  1. জাজাকাল্লাহ খাইরান

    ReplyDelete
  2. আল্লাহ সবাইকে আমল করার তৌফিক দিন- আমিন

    ReplyDelete

Post a Comment