বিবাহ বিষয়ক হাদীস


●●● আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, হে যুব সম্প্রদায়! যে ব্যক্তির সামর্থ্য আছে সে যেন বিয়ে করে নয়। কেননা বিয়ে চোখকে অবনত রাখে এবং লজ্জাস্থানকে সংযত করে । আর যার সামর্থ্য নেই, সে যেন সাওম পালন করে। সাওম তার প্রবৃত্তিকে দমন করে। -[বুখারীঃ ১৯০৫, ৫০৬৫; মুসলিমঃ ১৪০০]


●●● আনাস বিন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত যে, নাবী (সা) (একদা) আল্লাহর জন্য স্তূতি বর্ণনা ও প্রশংসা করলেন, আর বললেন- আমি তো সালাত আদায় করি, ঘুমাই, সাওম পালন করি, (নফল) সাওম রাখি, কোন সময়ে ত্যাগও করি, মহিলাদের বিবাহ করি (এইসব আমার আদর্শভুক্ত)। ফলে যে ব্যক্তি আমার তরীকাহ (জীবনযাপন পদ্ধতি) হতে বিমুখ হবে সে আমার উম্মতের মধ্যে নয়। -[বুখারীঃ ৫০৬৩; মুসলিমঃ ১৪০১; বুলুগুল মারামঃ ৯৬৮]


●●● আনাস বিন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) আমাদেরকে বিবাহের দায়িত্ব নিতে আদেশ করতেন আর অবিবাহিত থাকাকে কঠোরভাবে নিষেধ করতেন। তিনি আরো বলতেন, তোমরা এমনসব মহিলাদেরকে বিবাহ করো যারা প্রেম প্রিয়া ও বেশি সন্তান প্রসবনী হয়। কেননা তোমাদের নিয়ে আমি কিয়ামতের দিনে আমার উম্মতের আধিক্যের গর্ব প্রকাশ করবো। - [ইবনু হিব্বানঃ ১২২৮; আহমাদঃ ১২২০২]


●●● আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। নাবী (সা) বলেছেন, চারটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে মেয়েদেরকে বিয়ে করা হয়ঃ তার সম্পদ, তার বংশমর্যাদা, তার সৌন্দর্য ও তার দীনদারী । সুতরাং তুমি দীনদারীকেই প্রাধান্য দেবে নতুবা তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। -[বুখারীঃ ৫০৯০; মুসলিমঃ ১৪৬৬; নাসায়ীঃ ৩২৩০]


●●● আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, একজন মহিলাকে বিবাহ করতে যাচ্ছেন এমন একজন সাহাবীকে নাবী (সা) বললেন, তুমি কি মেয়েটিকে দেখছ ? সাহাবী বললেন, না। তিনি বললেন, যাও, তাকে গিয়ে দেখো। -[মুসলিমঃ ১৪২৪; নাসায়ীঃ ৩২৩৪]


●●● ইবনু উমার (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, এক মুসলিম ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের ওপরে অন্য ভাইকে প্রস্তাব দিতে নিষেধ করেছেন, যতক্ষণ না প্রথম প্রস্তাবকারী তার প্রস্তাব উঠিয়ে নেবে বা তাকে অনুমতি দিবে। -[বুখারীঃ ২১৩৯; ২১৬৫; মুসলিমঃ ১৪১২]


●●● আমর বিন আব্দুল্লাহ বিন যুবাইর থেকে বর্ণিত, তিনি তার পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, বিবাহ সংবাদকে ছড়িয়ে দাও। -[হাকিমঃ ২৮৩; আহমাদঃ ১৫৬৯৭]


●●● আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে নারীকে তার অভিভাবক বিবাহ দেয়নি তার বিবাহ বাতিল। স্বামী তার সাথে সহবাস করলে তাতে সে মোহরের অধিকারী হবে । তাদের মধ্যে মতবিরোধ হলে সে ক্ষেত্রে যার অভিভাবক নেই, শাসক তার অভিভাবক। -[আবু দাউদঃ ২০৮৩; তিরমিযীঃ ১১০২]


●●● আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ কোন মহিলা অপর কোন মহিলাকে বিবাহ দিবে না এবং কোন মহিলা নিজেকেও বিবাহ দিবে না। -[ইবনু মাজাহঃ ১৮৮২]


●●● আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, কোন বিধবা নারীকে তার সম্মতি ব্যতীত বিয়ে দেয়া যাবে না এবং কুমারী মেয়েকে তার অনুমতি ছাড়া বিয়ে দিতে পারবে না। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! কেমন করে তার অনুমতি নেয়া হবে । তিনি বললেন, তার (কুমারী মেয়ের) চুপ থাকাটাই হচ্ছে তার অনুমতি। -[বুখারীঃ ৫১৩৬; মুসলিমঃ ১৪১৯; তিরমিযীঃ ১১০৭]


●●● নাফি থেকে বর্ণিত, তিনি ইবনু উমার (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, নাবী (সা) আশ-শিগার নিষিদ্ধ করেছেন। (আশ-শিগার হলোঃ কোন ব্যক্তি নিজের কন্যাকে অন্য এক ব্যক্তির পুত্রের সঙ্গে বিবাহ দিবে এবং ঐ ব্যক্তির কন্যা নিজের পুত্রের জন্য আনবে এবং দু কন্যাই মোহর পাবে না)। -[বুখারীঃ ৫১১২; মুসলিমঃ ১৪১৫]


●●● আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, কেউ যেন ফুফু ও তার ভাতিজিকে এবং খালা ও তার বোনঝিকে একত্রে বিয়ে না করে। -[বুখারীঃ ৫১০৯; মুসলিমঃ ১৪০৮; তিরমিযীঃ ১১২৬]


●●● উসমান (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, হাজ্জের ইহরাম বেঁধে আছে এমন (মুহরিম) ব্যক্তি নিজে বিবাহ করতে পারবে না এবং অন্যকে বিয়ে দিতেও পারবে না। (মুসলিমের অন্য বর্ণনায় আছে- সে বিবাহের প্রস্তাব দিতে পারবে না)। -[মুসলিমঃ ১৪০৯; তিরমিযীঃ ৮৪০]


●●● সালামাহ বিন আল আকওয়া (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) 'আওতাস'(১) অভিযানকালে তিন দিনের জন্য 'মুতআহ' বা সাময়িক বিবাহ-এর অনুমতি দিয়েছিলেন, তারপর তিনি নিষিদ্ধ করে দেন। -[বুখারীঃ ৫১১৯; মুসলিমঃ ১৪০৫]


●●● আলী (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সা) মেয়েদের সাথে মুত'আহ বিবাহ করা, গৃহপালিত গাধার গোশত খাওয়া, খাইবার যুদ্ধে নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। -[বুখারীঃ ৪২১৬, ৫১১৫; মুসলিমঃ ১৪০৭; নাসায়ীঃ ৩৩৬৪]


●●● আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়েছিল; ঐ স্ত্রীলোকটিকে কোন ব্যক্তি বিবাহ করে, তারপর তাকে সহবাসের পূর্বেই তালাক দিয়ে দেয়। তারপর তার প্রথম স্বামী তাকে বিবাহ করতে ইচ্ছা করে। এ সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ (সা) জিজ্ঞাসিত হয়ে বলেনঃ না, যতক্ষণ না পরবর্তী স্বামী তার স্বাদ গ্রহণ (সঙ্গম) করবে যেমন তার পূর্বস্বামী গ্রহণ করেছে। -[বুখারীঃ ২৬৩৯, ৫২৬০; মুসলিমঃ ১৪৩৩]


●●● আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, স্ত্রীর বাহ্যদ্বারের সঙ্গমকারী ব্যক্তি অভিশপ্ত। -[আবু দাউদঃ ২১৬২; ইবনু মাজাহঃ ১৯২৩]


●●● আবু সা'ঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, পরকালে আল্লাহর নিকট সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট শ্রেণীর মানুষ ঐ লোকেরা হবে যে স্ত্রীকে উপভোগ করে এবং তার স্ত্রীও তাকে উপভোগ করে তারপর তার স্ত্রীর গুপ্ত রহস্য অন্যের নিকট ফাঁস করে দেয়। -[মুসলিমঃ ১৪৩৭; আবু দাউদঃ ৪৮৭০]


●●● ইবনু আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন- তোমাদের মধ্যে কেউ যখন সঙ্গম করে, তখন সে যেন বলে, "বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনিশ শায়তানা ওয়া জান্নিবিশ শায়তানা মা রাযাকতানা" -আল্লাহর নামে শুরু করছি, হে আল্লাহ! আমাকে তুমি শয়তান থেকে দূরে রাখো এবং আমাকে তুমি যা দান করবে তা থেকে শয়তানকে দূরে রাখো। এরপর যদি তাদের দু'জনকে কিছু ফল দেয়া হয় অথবা বাচ্চা পয়দা হয়, তাকে শয়তান কখনো ক্ষতি করতে পারবে না। -[বুখারীঃ ৩৭২১, ৫১৬৫; মুসলিমঃ ১৪৩৪; তিরমিযীঃ ১০৯২]


●●● ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন আলী (রা) ফাতিমাহ (রা) কে বিবাহ করেন, তখন রাসূলুল্লাহ (সা) তাকে বললেন- তুমি ফাতিমাহকে (মোহরানা স্বরূপ) কিছু দাও। আলী (রা) বললেন, আমার নিকটে কিছু নেই । নাবী (সা) বললেন, তোমার হুতামিয়্যাহ বর্মটি কোথায় (এটা দাও)? -[আবু দাউদঃ ২১২৫; নাসায়ীঃ ৩৩৭৫]


●●● ওকবাহ ইবনু আমির (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী (সা) বলেছেন, উত্তম মোহর হচ্ছে যা দেয়া সহজ হয়। -[আবু দাউদঃ ২১১৭]


●●● আনাস (রা) হতে বর্ণিত যে, নাবী (সা) আব্দুর রহমান ইবনু আউফ (রা) এর দেহে সুফরার (হলুদ রং) চিহ্ন পেয়ে বলেন, এ কী? আব্দুর রহমান ইবনু আউফ (রা) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা) আমি এক মহিলাকে একটি খেজুরের আঁটি পরিমাণ স্বর্ণের বিনিময়ে বিয়ে করেছি। নাবী (সা) বললেন, আল্লাহ তা'আলা তোমার এ বিয়েতে বারাকাহ দান করুন। তুমি একটি ছাগলের দ্বারা হলেও ওয়ালীমার ব্যবস্থা করো। -[বুখারীঃ ২০৪৯, ৫০৭২; মুসলিমঃ ১৪২৭]


●●● ইবনু উমার (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, তোমাদের কাউকে ওয়ালীমার দাওয়াত করা হলে তা অবশ্যই গ্রহণ করবে। -[বুখারীঃ ৪১৭৯; মুসলিমঃ ১৪২৯]


●●● আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন- নবী (সা) এর সুন্নাত হচ্ছে যদি কেউ বিধবা স্ত্রী থাকা অবস্থায় কুমারী বিয়ে করে তবে সে যেন তার (কুমারী স্ত্রীর ) সঙ্গে সাত দিন অতিবাহিত করে এবং এরপর পালা অনুসারে (রাতযাপন করে)। আর কেউ যদি কোন বিধবাকে বিয়ে করে এবং তার ঘরে পূর্ব থেকেই কুমারী স্ত্রী থাকে তবে সে যেন তার সঙ্গে তিন দিন কাটায় এবং তারপর পালাক্রমে (রাতযাপন করে)। -[বুখারীঃ ৫২১৩; মুসলিমঃ ১৪৬১]


●●● আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁর যে অসুখে ইন্তিকাল করেছিলেন, সেই অসুখের সময় জিজ্ঞেস করতেন, আগামীকাল আমার কার কাছে থাকার পালা? আগামীকাল আমার কার কাছে থাকার পালা? তিনি আয়িশা (রা) এর পালার জন্য এরূপ বলতেন। সুতরাং উম্মাহতুল মু'মিনীন (স্ত্রীগণ) তাঁকে যার ঘরে ইচ্ছে থাকার অনুমতি দিলেন। অতঃপর তিনি আয়িশা (রা) এর গৃহে অবস্থান করেছিলেন। -[বুখারীঃ ৮৯০, ৩১০০; মুসলিমঃ ২১৯২]


●●● আয়িশা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) সফরের মনস্থ করলে স্ত্রীগণের মধ্যে লটারি করতেন। যার নাম আসত তিনি তাঁকে নিয়েই সফরে বের হতেন। -[বুখারীঃ ২৫৯৩; মুসলিমঃ ২৪৪৫; বুলুগুল মারামঃ ১০৬৩]


●●● আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ তিনটি বিষয়ে বাস্তবিকই বলা হলেও যথার্থ বিবেচিত হবে অথবা উপহাসচ্ছলে বলা হলেও যথার্থ গণ্য হবেঃ বিবাহ, তালাক ও প্রত্যাহার। (হাকিম সহীহ বলেছেন)। -[আবু দাউদঃ ২১৯৪; ইবনু মাজাহঃ ২০৩৯]


●●● ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী (সা) বলেছেন, তালাক্ব হচ্ছে হালাল বস্তুর মধ্যে সর্বাপেক্ষা ঘৃণ্য বস্তু। -[ইবনু মাজাহঃ ২০১৮; আবু দাউদঃ ২১৭৮]


●●● আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রা) হতে বর্ণিত যে, তিনি রসূল (সা) এর যুগে স্বীয় স্ত্রীকে হায়িজ অবস্থায় তালাক্ব দেন। উমার ইবনু খাত্তাব (রা) এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সা) জিজ্ঞেস করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সা) বলেনঃ তাকে নির্দেশ দাও, সে যেন তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনে এবং নিজের কাছে রেখে দেয় যতক্ষণ না সে মহিলা পবিত্র হয়ে আবার ঋতুবতী হয় এবং আবার পবিত্র হয়। অতঃপর সে যদি ইচ্ছে করে, তাকে রেখে দিবে আর যদি ইচ্ছে করে তবে সহবাসের পূর্বে তাকে তালাক্ব দিবে। আর এটাই তালাক্বের নিয়ম, যে নিয়মে আল্লাহ তা'আলা স্ত্রীদের তালাক্ব দেয়ার বিধান দিয়েছেন। - [বুখারীঃ ৪৯০৮; মুসলিমঃ ১০১৫; বুলুগুল মারামঃ ১০৭০]


●●● ইবনু আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত যে, সাবিত ইবনু কায়স এর স্ত্রী নাবী (সা) এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (সা)! চরিত্রগত বা দ্বীনী বিষয়ে সাবিত ইবনু কায়সের উপর আমি দোষারোপ করছি না। তবে আমি ইসলামের ভিতরে থেকে কুফরী করা (অর্থাৎ স্বামীর সঙ্গে অমিল) পছন্দ করছি না। রাসূলুল্লাহ (সা) বললেনঃ তুমি কি তার বাগানটি (মোহরানা ) ফিরিয়ে দিবে ? সে বলল, হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ (সা) বললেনঃ তুমি বাগানটি গ্রহণ কর এবং মহিলাকে এক তালাক্ব দিয়ে দাও । বুখারীর অন্য বর্ণনায় আছে- রাসূল (সা) তাকে তালাক্ব দেয়ার জন্য আদেশ করলেন। -[বুখারীঃ ৫২৭৫, ৫২৭৭; নাসায়ীঃ ৩৪৬৩]


●●● আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে নাবী (সা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আমার উম্মতের হৃদয়ে (তালাকের) যে খেয়াল জাগ্রত হয় আল্লাহ তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে। -[বুখারীঃ ৫২৬৯; তিরমিযীঃ ১১৮৩]


●●● আবু সা'ঈদ (রা) থেকে বর্ণিত যে, নাবী (সা) আওতসের যুদ্ধের যুদ্ধ বন্দিনীদের সম্বন্ধে বলেছিলেন, গর্ভধারিণীর প্রসব না করা পর্যন্ত এবং গর্ভধারিণী নয় এমন মহিলাদের সাথে এক হায়িজ অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত যেন যৌন মিলন করা না হয়। -[আবু দাউদঃ ২১৫৭; মুসলিমঃ ১৪৫৬; বুলুগুল মারামঃ ১১২১]


●●● উমার (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন নিরুদ্দিষ্ট (দীর্ঘদিন অনুপস্থিতে) পুরুষের স্ত্রীকে চার বৎসর কাল অপেক্ষা করার জন্য বলেছেন। অতঃপর সে চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালন করবে। -[মুয়াত্তা মালেকঃ ১২১৯। হাদীসটি দুর্বল। বুলুগুল মারামঃ ১১১৭]

Post a Comment