সর্বপ্রথম ওহী নাযিলের ঘটনা

নাবী কারীম (সা.) এর বয়সের ৪০তম বছর যখন পূর্ণ হল- এটাই হচ্ছে মানুষের পূর্ণত্ব প্রাপ্তির বয়স এবং বলা হয়েছে যে, এ বয়স হচ্ছে পয়গম্বরগণের নবুওয়্যাত প্রাপ্তির উপযুক্ত বয়স- তখন নবুওয়াতের কিছু স্পষ্ট লক্ষণ প্রকাশ হতে লাগল। সে লক্ষণগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে স্বপ্নের মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছিল। তিনি যখনই স্বপ্ন দেখতেন তা প্রতীয়মান হতো সুবহে সাদিকের মতো। এ অবস্হার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হল ছয়টি মাস যা ছিল নবুওয়াতের সময়সীমার ছয়চল্লিশতম অংশ এবং নবুওয়াতের সময়সীমা ছিল তেইশ বছর।

এরপর তিনি যখন হেরাগুহায় নিরবিচ্ছিন্ন ধ্যানে নিমগ্ন থাকতেন এবং এভাবে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এবং বছরের পর বছর অতিবাহিত হতে হতে তৃতীয় বর্ষ অতিবাহিত হতে থাকলে তখন আল্লাহ তাআ'লা পৃথিবীর মানুষের উপর স্বীয় রহমত বর্ষণের ইচ্ছা করলেন । তারপর আল্লাহ রাব্বুল আলামীন জিবরাঈল (আ.) এর মাধ্যমে তাঁর কুরআনুল কারীমের কয়েকটি আয়াত নাযিল করে মুহাম্মদ (সা.) কে নবুওয়াতের মহান মর্যাদা প্রদানে ভূষিত করেন ।

বিভিন্ন ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত প্রমাণাদি গভীরভাবে অনুধাবন করলেই জীবরাঈল (আ.) এর আগমনের প্রকৃত দিন তারিখ ও সময় অবগত হওয়া সম্ভব হবে। আমাদের সন্ধানের ভিত্তিতে বলা যায় যে, এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল রমজান মাসে ২১ তারিখ সোমবার দিবাগত রাত্রে। খ্রীষ্টীয় হিসাব অনুযায়ী দিনটি ছিল ৬১০ খ্রীষ্টাব্দের ১০ই আগষ্ট।

- আর্ রাহীকুল মাখতুম, ৯৪ পৃঃ

Post a Comment