প্রারম্ভিক কথা


নাবী (সা.) এর জীবন চরিত বলতে বুঝায় প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ প্রদত্ত সেই বার্তা বিচ্ছুরিত আলোক রশ্নির বাস্তবায়ন বা রূপায়ন যা রাসূল (সা.) মানব জাতির সম্মুখে উপস্হাপন করেছেন এবং যার মাধ্যমে মানুষকে ভ্রষ্টতার গাঢ় অন্ধকার থেকে উদ্ধার করে শাশ্বত আলোকোজ্জ্বল পথের উপর প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং মানুষের দাসত্ব ও শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে আল্লাহর দাসত্বে প্রবিষ্ট করেছেন।

সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব ও নাবী (সা.) এর পবিত্র জীবন ধারার পূর্ণাঙ্গ প্রতিচ্ছবি অঙ্কন ততক্ষণ পর্যন্ত সম্ভব নয় যতক্ষণ না আল্লাহর বানী অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বের ও পরের তুলনামূলক বিচার বিশ্লেষণ করা যায়। (আমরা পর্যায়ক্রমে তুলে ধরতে চেষ্টা করবো, ইন শা আল্লাহ)

এর পূর্বে আমরা আরবের ভৌগলিক সীমারেখা সম্পর্কে জেনে নেই- 'আরব' শব্দটি 'বালুকাময় প্রাণ্তর' উষর ধূসর মরুভূমি বা লতাগুল্ম তৃণশস্যবিহীন অঞ্চল অর্থে ব্যবহৃত হয়। স্মরণাতীত কাল থেকেই বিশেষ এক বৈশিষ্ট্যগত অর্থে আরব উপদ্বীপ এবং সেখানে বসবাসকারী সম্প্রদায়ের জন্য এ পরিভাষাটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

আরবের পশ্চিমে লোহিত সাগর ও সীনাই উপদ্বীপ, পূর্বে আরব উপসাগর ও দক্ষিণ ইরাকের একটা বড় অংশ এবং দক্ষিণে আরব সাগর যা ভারত মহাসাগরের বিস্তৃত অংশ, উত্তরে শামরাজ্য এবং উত্তর ইরাকের কিছু অংশ। উল্লেখিত সীমান্তসমূহের কোন কোন ক্ষেত্রে কিছুটা মতবিরোধ রয়েছে। সমগ্র ভূভাগের আয়তন ১০ লক্ষ থেকে ১৩ লক্ষ বর্গমাইল পর্যন্ত ধরা হয়েছে।

সূত্রঃ আর-রাহীকুল মাখতুম, পৃষ্ঠা নং ৩৪

Post a Comment