রাসূলের (সাঃ) প্রতি বিরুদ্ধাচরণের বিভিন্ন পন্থা : ৩য় পর্ব


এ পর্যায়ে উপর্যুক্ত সন্দেহের বশবর্তী হয়ে মুশরিকগণ মানুষদেরকে তাদের সাধ্যমত কুরআন ও ইসলামের দাওয়াতের কথা শ্রবণ করতে বাধা প্রদান করতো। তারা যখন দেখতো যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লোকদেরকে দ্বীনের পথে আহ্বান করছে বা সালাত আদায় করছে, কুরআন তিলাওয়াত করছে তখন তারা মানুষদেরকে সেখান হতে তাড়িয়ে দিত, হৈচৈ-হৈ-হুল্লোড়, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, হট্টগোল পাকিয়ে দিত এবং নানা খেলা-তামাশায় মেতে উঠতো। এ বিষয়ে কুরআনের বানী-

"কাফিররা বলে- এ কুরআন শুনো না, আর তা পড়ার কালে শোরগোল কর যাতে তোমরা বিজয়ী হতে পারো।" -(হা-মীম সাজদাহ: ২৬)

অবস্থা এমন করে ফেলতো যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে আর লোকদের কুরআন তেলাওয়াত শোনাতে পারতেন না।

ইবনে আব্বাসের বর্ণনা সূত্রে এটা জানা যায় যে, ইসলাম বৈরিতার চরম পর্যায়ের ব্যবস্থা হিসেবে নাযর একাধিক ক্রীতদাস রেখেছিলেন। যখন তিনি জানতে পারতেন যে, কোন লোক ইসলাম গ্রহণের ইচ্ছে করছে তখন সেই লোকের প্রতি এক ক্রীতদাসকে নিয়োজিত করে দিতেন । ক্রীতদাসকে বলতেন তুমি তাকে খাওয়া দাওয়া করাও এবং তার মনোরঞ্জনের জন্য গীত গাও, বাদ্য বাজাও । মুহাম্মদ যে বিষয়ের প্রতি আহ্বান করছে এটা তার চেয়ে উত্তম। এ প্রসঙ্গে কুরআনুল কারীমে ইরশাদ হয়েছে:

"কিছু মানুষ আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার উদ্দেশ্যে অজ্ঞতাবশত অবান্তর কথাবার্তা ক্রয় করে আর আল্লাহর পথকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে।" -(লোকমান: ৬)


সূত্রঃ আর-রাহীকুল মাখতুম, ১১৫ পৃষ্ঠা

Post a Comment